করোনা মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি

করোনা মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি

প্রথম আলো

যুদ্ধটা এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে!
আমরা মরিয়া হয়ে উঠেছি একমুঠো বিশুদ্ধ বাতাস আর একটু জীবাণুমুক্ত পরিবেশের জন্য। করোনা মহামারির দিনগুলো আমরা পার করছি অদৃশ্য জীবাণুর সংক্রমণের আতঙ্কে।

কারণ, আমরাই তো এই ঘাতক জীবাণু কোভিড ১৯-এর বাহক। মানুষের হাঁচি, কাশি, স্পর্শ এমনকি নিশ্বাস থেকেই ছড়ায় এই জীবাণু। অদৃশ্য এই জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত যেকোনো উপকরণে; যেমন ধাতব, কাঠ কিংবা প্লাস্টিকের সামগ্রী, পোশাক ইত্যাদি। বর্তমানে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা; আবারও স্থবির হয়ে পড়ছে আমাদের পৃথিবী এবং প্রতিনিয়ত আমরা হারাচ্ছি আমাদের আপনজন।

তবে যেকোনো মূল্যেই আমাদের ফিরতে হবে স্বাভাবিক জীবনে। মানুষকে যেতে হবে স্কুলে, কর্মস্থলে, দোকানে কিংবা ব্যাংকে। অথচ ঘর থেকে শুরু করে দোকানপাট, ব্যাংক, হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়, ডাক্তারের চেম্বার কোথাও আর আজ নিরাপদ নয়। মানুষ বিশ্বজুড়েই খুঁজছে প্রতিকার। হন্যে হয়ে খুঁজছে এই অতি সংক্রামক ও জীবননাশী করোনার জীবাণু ধ্বংস করার উপায়।

আমাদের চারপাশকে জীবাণুমুক্ত করার ঐকান্তিক প্রয়াস থেকেই ওএসএস বাজারে এনেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি ওয়েলিস এয়ার অ্যান্ড সারফেস ডিসইনফেকট্যান্ট সলিউশন। এর মাধ্যমে কেবল বাতাস নয়, যেকোনো বস্তুর পৃষ্ঠতল, এমনকি আমাদের শ্বাসতন্ত্রও জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব হবে।

মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি কিংবা রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি ব্যবহারের মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস নয় বরং এই যন্ত্রের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর মাধ্যমে জীবাণু ধংস করা হয় প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করে।
আমাদের চারপাশে সূর্যালোকের সাহায্যে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে জীবাণুনাশক হাইড্রক্সিল র‍্যাডিক্যাল; যা সেল লাইসিং প্রক্রিয়ায় ভাইরাসের বহিরাবরণ বিনষ্ট করে ভাইরাসকে ধ্বংস করে। যে কারণে হাইড্রক্সিল র‍্যাডিক্যাল ‘প্রাকৃতিক পরিষ্কারক’ নামে পরিচিত।

জন্মগতভাবে মানবকোষ সূর্যালোকে থাকার উপযোগী হিসেবে গঠিত; ফলে বায়ুমণ্ডলীয় হাইড্রক্সিল র‍্যাডিক্যাল দ্বারা আমরা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হই না।
ওয়েলিস প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করে পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রক্সিল র‍্যাডিক্যাল উৎপাদন করে, যা আমাদের ঘরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে একই পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করে। মাত্র দুই থেকে চার ঘণ্টায় বাসা, ব্যাংক, হাসপাতাল কিংবা অফিসের কোনায় কোনায় থাকা সব জীবাণুকে ৯৯.৯৯ ভাগ ধ্বংস করতে পারে ওয়েলিস।

গত ৪ এপ্রিল, ২০২০ ওয়েলিসের করোনাভাইরাসবিনাশী সক্ষমতার ওপর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় বিখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ অ্যান্ড সায়েন্স (আইজেওইআর) সাময়িকীতে। স্পেনের বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বখ্যাত ভাইরোলজি বিভাগই এই গবেষণা সম্পাদন করেছে।

চীন, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে ওয়েলিস ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংসে সক্ষম। চলমান করোনা মহামারিকালে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন উন্নত দেশের হাসপাতাল, হাসপাতালের আইসিইউ, ব্যাংক, অফিস, কল-কারখানা, স্কুল ও বাসায় ওয়েলিস ব্যবহৃত হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল চীনের উহানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে গত বছর মাত্র ৭২ ঘণ্টায় নির্মাণ করা হয় ১ হাজার শয্যার একটি হাসপাতাল। এই হাসপাতাল জীবাণুমক্ত করতেও ব্যবহার করা হচ্ছে ওয়েলিস।

ওয়েলিসের উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ

১. এই যন্ত্র মানুষের উপস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টাই জীবাণুমুক্ত করে।
২. ওয়েলিস শুধু বাতাস নয়, বস্তুপৃষ্ঠকেও জীবাণুমুক্ত করে, যেটা শিল্প ও কল-কারখানার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে শ্রমিকেরা যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করেন।
৩. ওয়েলিসের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মানবদেহের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে।
৪. ওয়েলিসে ব্যয়বহুল কোনো ফিল্টার ও ইউভি লাইট ব্যবহৃত হয় না।
৫. ওয়েলিস মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পর্দাথ (যেমন: ওজোন, হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড, ক্লোরিন, ইউভি ইত্যাদি) নিঃসরণ করে না।
৬. ওয়েলিস পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো লোকবলের প্রয়োজন হয় না।
৭. ওয়েলিস দারুণ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী (৩.৬ ওয়াট/ঘণ্টা)
৮. ওয়েলিস আকারে ছোট ও সহজে বহনযোগ্য।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো, আমাদের চারপাশকে করোনামুক্ত করা। জীবাণু ধ্বংস করতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রশ্মি ও রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে পরিবেশের ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয়, সে বিষয়েও একই সঙ্গে সর্তক থাকতে হবে।
ওয়েলিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৯৫৫৫৬০৩২৯, ০১৯৫৫৫৬০৩০৩ এই মুঠোফোন নম্বরে অথবা ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: www.wellisbd.com

সূত্র: করোনা মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

0
    0
    Your Cart
    Your cart is emptyReturn to Shop